ঢাকা , সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ , ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হামজায় ভর করে দিনবদলের স্বপ্ন– কতটা বাস্তব, কতটা কঠিন চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাব শিগগিরই মানবতা যেখানে বিপর্যয় হবে, সেখানে আমরা ছুটে যাব : জামায়াত আমির ড্রোনের সঙ্গে সংঘর্ষে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক হেলিকপ্টার ধ্বংস পোপ ফ্রান্সিসের শারীরিক অবস্থার উন্নতি দানবীয় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ জনের মৃত্যু ইউরোপে নাইট ক্লাবে ভয়াবহ আগুন, ২০ জন আটক নয় মাস পর পৃথিবীতে ফেরার পথ খুললো দুই নভোচারীর ‘ট্রিট’ পেয়ে চুরি করা দামি মোবাইল ফোন ফেরত দিল বানর দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের ‘সুস্পষ্ট রোডম্যাপ’ রয়েছে: মোদী নাগার শেষ স্মৃতিচিহ্নটুকুও মুছে ফেললেন সামান্থা হুথিদের লক্ষ্য করে আবারো বিমান হামলা যুক্তরাষ্ট্রের কেরাণীগঞ্জে শিশু ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রমজানে রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা সেচপাম্প চালানোর অনুরোধ বাঁচার জন্য লড়ছে গাজায় অবরুদ্ধ ১০ লাখ শিশু মানবদেহ মহাকাশ ভ্রমণের উপযোগী নয় বৃষ্টিতে ভিজে কিছুটা শীতল হলো ঢাকা ‘বশির সাহেব কথা রাখতেছেন’ বাণিজ্য উপদেষ্টার প্রশংসায় হাসনাত আব্দুল্লাহ আমরা বলছি ডিসেম্বরে নির্বাচন, এর মধ্যেই সংস্কার করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে বিদেশি শিক্ষার্থীরা, পাকিস্তান-আফগানিস্তানে ক্ষোভ

স্কুলে যাওয়ার জন্য জুতাও ছিল না মোদির!

  • আপলোড সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ১২:০৭:২৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ১২:০৭:২৯ অপরাহ্ন
স্কুলে যাওয়ার জন্য জুতাও ছিল না মোদির!
চরম দারিদ্রতার মধ্যে কাটানো প্রথম জীবনের কথা স্মৃতিচারণ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোববার (১৬ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের পডকাস্ট হোস্ট লেক্স ফ্রিডম্যানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মোদি জানিয়েছেন, তার ছোটবেলা কেটেছে খুবই দারিদ্রতার মধ্যে। তবে সেগুলো অনুভব করতে দেয়নি তার বাবা-মা। এমনকি স্কুলে যাওয়ার জন্য জুতা ছিল না বলেও জানিয়েছেন টানা তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা বিজেপির এই নেতা।

লেক্স ফ্রিডম্যানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান, একটি ছোট বাড়িতে তারা থাকতেন। সেখানে তার বাবা-মা, ভাইবোন, চাচা, কাকা এবং দাদা-দাদি থাকতেন। কিন্তু সেই ঘরে কোনো জানালা পর্যন্ত ছিল না।

 
নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমার প্রথম জীবন চরম দারিদ্রতার মধ্যে কেটেছে, কিন্তু আমরা কখনই এই বোঝা অনুভব করিনি। এজন্য বাবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম ও তার মায়ের অবদানের কথা জানান মোদি।
 
স্কুলে যাওয়ার জন্য চাচার জুতা কিনে দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি খালি পায়ে আমার স্কুলে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে দৌড়ে চাচার কাছে যাই। তিনি আমাকে দেখে অবাক হন। জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি এভাবে স্কুলে যাও?’। তো ওই সময় তিনি আমাকে এক জোড়া ক্যানভাস কিনে দেন এবং আমাকে পরান।
 
চাচার কাছ থেকে জুতা পাওয়ার পর সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে এমন চিন্তা মাথায় আসলে চিন্তিত হয়ে পড়েন বলে জানান মোদি। তাই সেগুলোকে ঝকঝকে রাখতে উপায় খুঁজতে থাকেন।
 

 
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্কুল শেষে সন্ধ্যার দিকে, আমি স্কুলে আরও কিছুক্ষণ অবস্থান করতাম। আমি এক ক্লাসরুম থেকে আরেক ক্লাসরুমে যেতাম। ক্লাসে যেসব লেখার চক পড়ে থাকত সেগুলো সংগ্রত করতাম। সেগুলোকে পানিতে ভেজাতাম। এরপর পেস্টের সঙ্গে মিশাতাম। শেষে এগুলো আমার ক্যানভাস জুতার ওপর লেপে দিতাম। এতে জুতাগুলো আবারও উজ্জল সাদা হয়ে যেত।’
 
মোদি বলেন, আমার কাছে, সেই জুতাগুলো ছিল একটি মূল্যবান সম্পদ, বিরাট সম্পদের প্রতীক। আমি ঠিক জানি না কেন, কিন্তু ছোটবেলা থেকেই আমাদের মা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি অত্যন্ত মনোযোগী ছিলেন। সম্ভবত এখান থেকেই আমরা এই অভ্যাসটি উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি।
 
এদিকে গুজরাটে ২০০২ সালের ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন রাজ্যটির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
 

 
সেসময় রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও সংঘাত না থামিয়ে বরং দাঙ্গা প্রতিরোধ যারা করতে চেয়েছিলেন তাদের শাস্তি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট মোদিকে নির্দোষ ঘোষণা করলেও ২৩ বছর ধরেই তাকে দায়ী করা হচ্ছে গুজরাট দাঙ্গার জন্য।
 
মোদি আরও বলেন, ২০০২ সালের সংঘাত নিয়ে এমন একটি ধারণা তৈরি করা হয়েছিল যেন সেটি গুজরাটের সবচেয়ে বড় দাঙ্গা। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা, সাইকেলে ধাক্কার মতো ছোটখাটো ঘটনাতেও রাজ্যটিতে দাঙ্গার মতো ঘটনা ঘটতো।
 
তিনি বলেন, আমার বিধায়ক হওয়ার তিনদিন পর গোধরার ঘটনা ঘটে। মানুষকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেয়া হয়। আপনি কল্পনা করতে পারবেন পরিস্থিতি কতটা উত্তপ্ত ছিল। এটা সবচেয়ে বড় দাঙ্গা ছিল এমন গল্প ছড়ানো হয়েছিল যা মিথ্যা।
 
 সূত্র: এনডিটিভি

কমেন্ট বক্স
হামজায় ভর করে দিনবদলের স্বপ্ন– কতটা বাস্তব, কতটা কঠিন

হামজায় ভর করে দিনবদলের স্বপ্ন– কতটা বাস্তব, কতটা কঠিন